বাংলার সিংহ পুরুষ জসীম উদ্দীন রাহমানী
শায়েখুল হাদীস মুফতী জসীমউদ্দীন রাহমানী” এমন একজন ব্যক্তি যিনি সমগ্র বাংলার তাওহীদি জনতার অনুপ্রেরনা। শ্রদ্ধেয় শায়েখ সর্বক্ষেএে একমাত্র আল্লাহর ইবাদাহ প্রতিষ্ঠায় আপোষহীন, বাতিল শক্তির মুখোশ উন্মোচনকারী। তিনি সত্য প্রকাশে আপোষহীন। একমাত্র আল্লহর ভয়ে ভীত বাংলার সিংহ পুরুষ। তিনি তাগূতের বিরুদ্ধে কোন নমনীয়তা ছাড়াই জালিম শাহীর সামনে তুলে ধরেছিলেন এর দ্বারা সংঘটিত অত্যাচার আর অনৈসলামিক কাজের নমুনা। নাস্তিকদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত দৃঢ়চেতা এই মানুষটি কারো কোন অপপ্রচার, নিন্দাবাদের পরোয়া করতেন না। তিনি অসাধারণ সাহসিকতার সাথে বাংলাদেশে মুসলিম সমাজে প্রচলিত বিদয়াতি আমল-আকিদা, সূফিবাদ ও পীরবাদের ভণ্ডামী, অনৈসলামিক রাজনীতি ও কুফরী গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার বিরোধিতা করে আসছিলেন।
তার পাণ্ডিত্যপূর্ণ খুতবা(যা তিনি প্রতি জুমুয়ায় তার মসজিদে দিতেন) দেশ বিদেশের বাংলা ভাষাভাষী মুসলিম জনসাধারণ— বিশেষ করে দ্বীনের প্রতি অনুরক্ত যুবকদের মন জয় করতে সক্ষম হয়। এক কথায়, তিনি যেন বাংলাদেশের আনোয়ার আল আওলাকি! তার বক্তৃতা এবং তার লেখা কিছু মূল্যবান বই বাংলাদেশে তাওহীদবাদী মানুষের এক নীরব বিপ্লবী জোয়ার শুরু করেছে। শায়খ তাওহীদ ও জিহাদের দাওয়াত দিতেন। নিজেকে শুধুমাত্র মুসলিম হিসেবে পরিচয় দিতেন। দাওয়াতের মাধ্যমে গণজাগরণ আর তারপর ক্বিতাল ফি সাবিলিল্লাহ এর মাধ্যমে “খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওয়াহ” কায়েমই ছিল তার স্বপ্ন।
মাত্র মাস কয়েক আগে, শাহবাগী নাস্তিকদের বিরুদ্ধে তিনি ব্যপক প্রচারণা চালান। এক পর্যায়ে নাস্তিক ব্লগার থাবা বাবা ওরফে রাজিব নিহত হয়। সন্দেহের তীর নিক্ষিপ্ত হয় তার দিকে। এক পর্যায়ে সন্দেহভাজন পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বীর যুবক(আনসারুল্লাহ বাংলা মিডিয়া) পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। পুলিশ এরপর শায়খ জসীম ও তার সঙ্গী-সাথীদের একটা গ্রুপকে শায়খের পৈতৃক জেলা বরগুনা থেকে গ্রেফতার করে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাস্তিক রাজিব হত্যায় হত্যাকারী যুবকদেরকে উৎসাহিত করেছেন এবং বাংলাদেশে ইসলামী শরিয়ত কায়েম করতে চেয়েছিলেন। এই ব্লগ লেখা পর্যন্ত তিনি কারাগারে আবদ্ধ আছেন। আমাদের কাছে শায়খের আত্মীয় মারফত খবর পৌঁছেছে যে, কারাগারে তার সাত্যে তাগূতের পালিত কুত্তা পুলিশবাহিনী অত্যন্ত নৃশংস অত্যাচার করেছে। শায়খ এখন অসুস্থ, দুর্বল এবং বিপর্যস্ত।
আল্লাহ এই সংগ্রামী পুরুষকে ধৈর্য দান করুন। তার জীবনীশক্তিকে বাড়িয়ে দিন। তার পরিবার-পরিজন ও তার ছাত্রদের ওপর রহমত করুন। যেন তিনি খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে ফিরে আসেন।আমীন।